একাডেমিক শিক্ষা, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (কোডা) প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজের বিশেষত্ব হলো একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান। এস.এস.সি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা যে জি.পি.এ নিয়ে আমাদের কলেজে ভর্তি হয় সেই শিক্ষার্থীরা এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জি.পি.এ উন্নতি হয়।ঢাকা বোর্ডের ২০১৫ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় যে ১০টি কলেজের শিক্ষার্থীদের জি.পি.এ বৃদ্ধি হয়েছে তাদের মধ্যে কোডা কলেজ অন্যতম। প্রতিদিনের ফিডব্যাকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়া সম্পন্ন করতে হয়। অভিভাবকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং আলোচনার সাপেক্ষে সকল ধরণের একাডেমিক ও মানসিক সমস্যার সমাধান করে শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন করা হয়। কোডা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল অভিভাবকদের সন্তানকে প্রয়োজনীয় বৃত্তি প্রদান করে পড়াশুনা করার সুযোগ দেওয়া হয়। ফলে সমাজের অনেক অভিভাবক এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। তাদের সন্তান উচ্চ শিক্ষিত হয়ে দেশে বিদেশে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবকের সহায়তা পেলে শিক্ষার্থীকে মানুষের মত মানুষ করা সম্ভব। একাডেমিকভাবে ও মানুষ হিসেবে ভালো একদল তরুন শিক্ষক দ্বারা কোডা পরিচালিত হয়।শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা এবং আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রেণি শিক্ষক ও গাইড শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা দিয়ে একাডেমিক উন্নতি করা হয়। একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার উন্নয়ন করার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বয় করা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীর বিনোদন, খেলাধূলা, ধর্মীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এর মাধ্যমে একজন সচেতন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি একজন শিক্ষিত ভাল মানুষই কেবল নিজের ও দেশের কল্যান সাধন করতে পারে।
এস. এম . আবিদ আজাদ হোসেন
অধ্যক্ষ, কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ [কোডা]